পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যেন দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা দেশে বিদ্যুৎ ছারা একটি পরিবারও থাকবেনা, এ লক্ষ্যে সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে।
এবং বাস্তবতাও খুজে পাওয়া যায়, তবে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীর কাছ থেকে একটি চক্র বিদ্যুৎ এর লাইন এনে দেয়ার নামকরে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, এ টাকার একটি বড় অংক তুলে দিতে হয় খোদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের টপ টু বটম সকলকে। উল্লেখ্য যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে টাকা ছারা নতুন সংযোগ অথবা পরিবর্তন বা যে কোন সমস্যার সমাধানে টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এ লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একটি টাকা উঠানো দালাল চক্র রয়েছে, এ চক্রটি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কামাইর পুত বলে ক্ষ্যাত। এ বিষয় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে এ সকল তথ্য জানা জায়। কিছু দিন পূর্বে সদর উপজেলার বড় বিঘাই ইউনিয়নের পাটুখালী গ্রামের জনৈক কেরামত আলীর ছোট ছেলে মস্তফা ও তার ভালো সোহরাব ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা তোলেন, মস্তফা নিজেকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর ড্রাইভার দাবী করে এ টাকা তোলেন বলে একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে,বর্তমানে ও ঐ এলাকায় নতুন একটি সংযোগের কাজ চলমান সে জন্য আবার ও নতুন করে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে।
শুধু বড় বিঘাইতে নয় জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এমন চিত্র অব্যাহত রয়েছে। এ ছারা কিছু দিন পূর্বে বদরপুর ইউনিয়নের একটি লাইন জনৈক দুলাল সরদারের বাগানের ভিতর দিয়ে নেওয়ায় ইতিপূর্বে গাছে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে, এ বিষয় জনৈক দুলাল সরদার খুটি শরিয়ে লাইন পূণরায় দেয়ার জন্য আবেদন করলেও তাতে কর্নপাত নাকরে মোটা অংকের টাকা খেয়ে তার গাছ কেটে সংযোগটি পূণরায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমান বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের উপজেলা রাঙ্গাবালীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ ইতিমধ্যে চলমান, সেখানের চিত্র ভয়াবহ কারন সেখানে সংযোগ প্রতি ২ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জেলার কোন এলাকায় টাকা ছারা সংযোগ পেয়েছে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীরা বলছে সরকার বিনামূল্যে শুধু মিটারের টাকা জমা নিয়ে সংযোগ দেয়ার কথা থাকলেও এর বিপরীতে ২ থেকে ১৯ হাজার টাকা করে নাদিলে বিদ্যুৎ লাইন পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়।
জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতাও খুজে পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানায় প্রতিটি লাইন পাশ করাতে ২/৩ লক্ষ্য টাকার দরকার, টাকা নাদিলে মাসের পর মাস লাইন পাশ নাকরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এর বিপরিতে তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা রাতে পরিশোধ করলে সকালে লাইন পাশ হয়ে জায়। আর এ টাকা জি এম, ডি জি এম সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রকৌশলীরা ভাগ বাটোয়ারা করেন বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেন।
সচেতন মহল বলছে দুর্নীতির চরমে পৌছেছে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, এখনই লাগাম টেনে ধরে নিয়ন্ত্রণ করা নাহলে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো আগামীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য মহা অর্থনৈতিক সংকটে পরবে, এর বিপরীতে একটি মহল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধ টাকার পাহার গরবে। এ বিষয় কথা বলতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পটুয়াখালী এর কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হয়নি।